ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

হারবাংয়ে ছড়াখালে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন, অভিযানে প্রমাণ পেয়েছে আদালত

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাতের নেতৃত্বে পুলিশ ও সরকারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অভিযানে উপজেলার হারবাং এলাকার ৩ নং পয়েন্টে ইজারা নিয়ে ছড়াখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রমান পেয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। ওইসময় অভিযুক্তরা মহালটি ইজারা নিয়েছেন দাবী করলেও অভিযুক্ত বালু দস্যুদেরকে উপজেলা ভুমি অফিসে তলব করা হয়েছে। শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠায় তার কাছ থেকে অঙ্গিকারনামা নেয়া হবে যাতে ওই এলাকার ছড়াখালে মেশিন না বসাতে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িতেদেরও ভূমি অফিসে হাজির করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন সহকারি কমিশনার। গতকাল সোমবার ৬ আগস্ট দুপুরে উপজেলার হারবাং ছড়াখালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত টিম।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমোদন নেয়ার অজুহাত দেখিয়ে জেলা প্রশাসনের অধীন চকরিয়া উপজেলার হারবাংয়ের ৩ নম্বর বালু মহালের অংশের এলাকা হারবাং ইউনিয়নের তিনটি পয়েন্টে ছড়াখালে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন একটি চক্র।

বালু উত্তোলনে জড়িতরা হলেন স্থানীয় মাস্টার ফজল কাদের, জাহাঙ্গীর আলম, ভেট্টু, মমতাজ, ডেকোরের্টাস মালিক জমির উদ্দিন ও মো.হোসেনসহ ১০-১২জনের একটি সিন্ডিকেট। বর্তমানে তাঁরা প্রশাসনের অনুমোদন নেয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে হারবাং তহসিল অফিসে উত্তরে মোহছেন সিকদার পাড়া পয়েন্ট, হারবাং বাজার এলাকায় সদ্য নির্মিত সেতুর তলদেশ থেকে ও লাল ব্রীজ পয়েন্টে তিনটি শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হারবাং এলাকার ছড়াখালে অভিযান চালাই। এসময় ইজারা না নিয়ে কয়েকটি পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করতে দেখা যায়। ভ্রাম্যমান আদালত টিমকে দেখে সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যায়। তবে ৩ নং পয়েন্টে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছে দাবী করলেও শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অফিসে তলব করা হয়েছে।

 

পাঠকের মতামত: